ভিতরে ঢুকে মাঝ বরাবর এসে দাড়াল জিশান।।
ওর মাথায় এখন বিভিন্ন প্রশ্ন আসতেছে। এই জিনিস টা ওর খুবই ভাল লাগে সমস্যা সমাধানের আগে নিজে ভেবে নেই কি হতে পারে।
ওর পায়ের নিচে শুধু মাটি নয় মাটির দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে একটা কাঠ কে আর তার উপর টোকা দিয়ে বুঝতে পারল নিছে গর্ত আছে ।
এখন সে ভাবছে কি থাকতে পারে এই গরতে নাকি অন্ধকার পাহাড়ের মত মাটির নিচেও ঘর আছে....?
এসব ভাবতে ভাবতে তুলে ফেলল কাঠ টা ।
নিচের দিকে তাকিয়ে চোখ লালা হয়ে গেল জিশানের । ইয়াবার পেকেট দিয়ে গর্ত টা ভরাট করা।
পেকেট গুলো বস্তা ভরে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাটা দিল জিশান ।
****
জামাল সাহেবের উঠানে অনেক লোকের ভিড় ।
জিশান গিয়ে দাড়াল ফারহান সাহেবের পাশে ।
কিছুক্ষন পর রফিক ও কামালের সাথে জামশেদ সাহেব কে ও দাড় করানো হল।।
ততক্ষনে পুলিশ এসে হাজির হয়েছে ।
ফারহান সাহেব কে সেলুট করে আসামী তিনজনের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে গাড়িতে তুলতে যাবে পিছন থেকে জিশান বলে উঠল চলে যে যাচ্ছেন মুল ঘটনা তো অজানায় থেকে গেল ।
সে সব থানায় গিয়েও করা যাবে বলল পুলিশ জসিম ।
সেটা যদি হয় তাহলে আসল অপরাধী যে খোলা আকাশের নিচে থাকার সুযোগ পেয়ে যাবে।
কি বলতে চাচ্ছেন খুলে বলুন ।
বসুন বসুন সবই বলছি।
তার আগে বলুন গত তিন মাসে যে ইয়াবা গুলো আটক তা তো এই থানাতেই ছিল এগুলা এখন কোথায় ?
সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জিশানের দিকে ।
ইতস্ততভাবে উত্তর দিল সেগুলো থানাতেই আছে..!সেগুলার তো এই কেইসের সাথে সম্পর্ক নেই অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
সম্পর্ক আছে বলেই তো বলছি আপনার কন্সটেবল কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করুন ইয়াবা গুলো আছে কিনা...?
আলবাদ আছে আমি নিজে ওগুলা রেখেছি জোর গলায় বলল জসিম।
তাহলে এগুলা কি বস্তার মুখ খুলে ইয়াবাগুলো দেখাল জিশান । সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
কিছু বুঝতে না পেরে ফারহান সাহেব বললেন একটু খুলে বল না আর সহ্য হচ্ছে না যে।
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল জসিম ।
ফারহান সাহেবের আদেশে চার পাশে গিরে দাড়াল পুলিশ।
জিশান বলতে শুরু করল ।
কেইসটা শুধু বাংলো নিয়ে নয় ।
জামশেদ সাহেব একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ।
জসিম সাহেবের সাথে হাত করে ঢাকাতে তিনি তার ব্যবসা সুন্দর ভাবে চালাচ্ছিলেন ।
কিন্তু কয়েক মাস আগে জসিম সাহেব এই এলাকায় ট্রান্সফার হলে জামশেদ সাহেবের ব্যবসায় ব্যগাত ঘঠে ফলে তিনি এই এলাকায় চলে আসেন ।
এখানে এসে তিনি জসিম সাহেবের সাথে ঢিল করতে গেলে জসিম সাহেব উচ্ছ মুল্যে ইয়াবা গুলো বিক্রয় করে দেয় ।
অন্যদিকে রফিক ও কামাল দুজন জামাল সাহেবের শালা হন ।
বোনের সাথে কথা বলে তারা এই বাংলোটা দখল করতে চেয়েছিল ।
কারন সন্তান না হওয়ায় মিসেস রাবেয়া আর জামাল সাহেবের মধ্যে সম্পর্ক টা ভাল যাচ্ছে না তাই বাংলো টা দখল করে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।
কিন্তু ভয় দেখাতে গিয়ে ওই দিন কাজ করতে আসা লোকটির মৃত্যু হওয়ার পর যখন ওরা বাড়ি পিরছিল তখন জামশেদ সাহেব কে দেখে পেলেন ইয়াবা সহ । পুলিশ কে বলার কথা বলল জামশেদ ওদের কে এই ভয় দেখায় যে খুন করার কথা ও বলে দিবে।
তখন চোরে চোর মাসতুতো ভাই হয়ে যায়।
জামশেদ সাহেব তার ইয়াবা ঐ গর্তে রেখে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করতে যায় সাথে লেখাটা ছাপানো ও হয় ।
কিন্তু ঐ ব্যবসায়ীর সাথে হিসেব মিলাতে না পেরে এক পর্যায়ে চলে আসে জামশেদ সাহেন।
এর পর যখন আমরা ঐ লোকটার সন্ধান করে না পায় তখন চলে আসার সময় উনার সাথে দেখা হয়।।
পুলিশের ভয় দেখালে উনি সব কিছু বলতে বাধ্য হন ।
দুর্ভাগ্য বসত রাতেই উনি ট্রেন থেকে পালিয়ে যায়।
বলে থামল জিশান ।
গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হল রাবেয়া আর জসিম সহ অন্য তিনজন কেও ।
জামাল সাহেব এসে বললেন আমাকে ক্ষমা কর বাবা আমি তোমার কাচ থেকে এই বিষয়টা লুকিয়ে ছিলাম যে আমার স্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয় কিন্তু সে যে এমন করবে তা ভাবিনি ।
তুমি আমার চোখ খুলে দিলে ।
জামাল সাহেব কে শান্তনা দিয়ে জিশান বলল আংকেল "আমরা যা সব সময় দেখি তা মুল রহস্য নয় মুল সহস্য তো সেটাই যেটা লুকিয়ে থাকে "যা সবাই দেখে না ।
জসিমের দিকে চেয়ে ফারহান সাহেব বলল যে ইউনিফর্ম টা গায়ে দিয়েছ তার সম্মান রাখতে পারলে না। সরকার তোমাদের কে দেশের শান্তি রক্ষার জন্য মাসে মাসে বেতন দিয়ে যাচ্ছে আর তোমরা সরকারের টাকা খেয়ে সরকারের ক্ষতি করে চলছ ।
মুনা গিয়ে রাবেয়া বেগম কে বলল আপনার অসুবিধার কথা অন্তত নিজের স্বামীর সাথে শেয়ার করতে পারতেন । উনি সমাধাম বের করে দিতেন । কিন্তু লোভ আপনাকে অন্ধকরে রেখেছিল । যার ফলে নিজের স্বামীর ক্ষতি করতে ও আপনার হাত কাপেনি ।
ওদের কে নিয়ে চলে গেল পুলিশ ।
জামাল সাহেবের কাছে বিধায় নিয়ে
ফারহান সাহেব কে নিয়ে
জিশানও চলল তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে ।
(সমাপ্ত)
কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।