"শেখ ফরিইইইদ" কিংবা "পান-বিড়ি-সিগ্রেটের" গল্প !

রহস্যময় বিজ্ঞানী শেখ ফরিদের বৈজ্ঞানিক নাম "Francolinus francolinus"।
ফ্যাজিয়ানিডি পরিবারের সন্তান এবং ফ্র্যাংকোলিন্যাস গণের এক প্রজাতির বুনো পাখি উনি।
IUCN এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশংকাহীন বলে ঘোষণা করেছে।
তবে বাংলাদেশে এই পাখি Critically Endangered বলে বিবেচিত। বাংলাদেশে ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাতাঝরা বন ও রাজশাহী বিভাগের উত্তর প্রান্তের গ্রামাঞ্চলে এ পাখিটি এখনও দেখা যায়।
শেখ ফরিদের মোট ছয়টি উপপ্রজাতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
এরা সাধারণত ওড়ে না, তবে বিপদের আভাস পাওয়ামাত্র সেই স্থান থেকে সটকে পড়ে জেমস বন্ড স্টাইলে।
এদের অদ্ভুত রকম ডাকের কারনেই এমন নাম দেয়া হয়েছে।
পাখিটি যখন ডাকে, তখন প্রায় শোনা যায় "শেখ ফরিইইইদ" বলে ডাকছে।
তাই পাখিটি শেখ ফরিদ নামেই প্রাণিবিদদের মাঝে সমাদৃত।
তবে পোশাকি ভদ্রলোকি নাম "কালা তিতির"।
সাধারণত উষা ও গোধূলিলগ্নে এদের কর্মচঞ্চলতা বেশি দেখা যায়।
সব পাখির মতো ওরাও আর্লি টু ব্যাড, আর্লি টু রাইজ নীতি পালন করে।
এদের স্বভাবসিদ্ধ ডাক হলোঃ চিক... চুক... ক্রেকেক।
এই অদ্ভুত ও ছন্দময় ডাকের জন্য বাংলাদেশের তেঁতুলিয়ার কৃষক আর রাখালেরা এই পাখিটিকে ডাকে "পান-বিড়ি-সিগ্রেট বলে।
হাউ রিডিকিউল্যাস এন্ড ফানি !
মার্চ থেকে অক্টোবর মাস এঁনাদের মিলন মৌসুম।
স্ত্রী শেখ ফরিদ ৬-৯ টি ডিম পাড়ে বাসায়। সেই আন্ডাগুলো থেকে ১৮-১৯ দিন পর বাচ্চা বের হয়।
শেখ ফরিদের স্ত্রী শুধু ডিমে তা দেয়, আর সে হাজব্যান্ড হিসেবে ভ্যাগাবন্ড টাইপ।
তো এই ছিলো সংক্ষেপে ডাকাত ও বিজ্ঞানী পাখি "শেখ ফরিদের" লাইফ হিস্ট্রি ।
কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ :)
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।
সৌজন্যেঃ Ridwan Ur Rahman
Follow Us