--"" সাদা শাড়ি পরা মেয়ে টা প্রতিদিন এর মতো আজও আমায় ডাকছে, আমার দিকে ভয়ানক ভাবে তাকিয়ে আছে। 
.
--"" মেয়েটার চোখের কোটরে কোনো মণি নেই, মুখের মাংশ খুলে পড়ছে নিচে।
ধিরে ধিরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে,
.নায়ায়ায়ায়ায়া...

 প্রতিদিনের মতো আজও সেই ভয়ানক সপ্ন টা দেখে ঘুম টা ভেঙে গেলো। মা-বাবা পাশের ঘর থেকে দৌরে আসল, আমি খুব জোরালো ভাবে স্বাশ
নিচ্ছি, শরীর ঘেমে পুরোটা ভিজে গেছে। 
মা এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো ।
বাবা পানির গ্লাস টা হাতে দিয়ে বললো,
পানি টা খেয়ে নিতে, আমি ঢকঢক করে
সব টুকু পানি খেয়ে নিলাম। মাথায়
হাত বুলাতে বুলাতে বললো, আজও কি সেই স্বাপ্নটা আবার দেখেছিস?(মা)
হুম(আমি)
ভয় পাশ না বাবা তুই ঘুমা
আমরা পাশের রুমেই আছি।(মা)
আমি আবার শুয়ে পড়লাম, মা বাবা চলে
গেলো। অহ দেখেছেন এতো কথা হয়ে
গেলো আমি এখনো আমার পরিচয় টাই
দেইনাই, এইজন্যই মা আমাকে মাথা মোটা
বলে।😁 থাক অইসব কথা,আমি নিহাদ, বাবা মায়ের বড় ছেলে, ছোট একটা ভাই আর দুস্টমিস্টি একটা বোন আছে, আমি এইবার অনার্স প্রথম বর্শের ছাত্র।
এখন গল্পে আসি।
সকাল ৯.১৫ বাজে, আমি ঘুমে
বিভোর হয়ে আছি। এমন সময় মনে হচ্ছে 
বৃস্টি পড়ছে, কিন্তু আমি তো আমার
রুমেই আছি, তাহলে পানি আসলো কিভাবে? 😲
নিশ্চোই পাজি টার কাজ। চোখ খুলে ধড়পড় করে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই দেখি দুস্টুটা বালতি হাতে নিয়ে
দারিয়ে খিল খিল করে হাসছে। আমি রাগি
চেখে তাকাতেই দৌড়ে পালিয়ে গেলো,
আমিও ওকে ধরবার জন্য পিছু পিছু
ছুটলাম, কিন্তু হারামি টা দৌড়ে গিয়ে মায়ের
পিছনে লুকিয়ে পরলো। আমি মায়ের কাছে গিয়ে বললাম,মা তুমি ওকে কিছু
বলবে নাকি আমি ধরে পিটাবো 😡 
.
--"" কি তুই আমার পরিকে পিটাবি তোর এতো বড় সাহস 😡(চোখ বড় বড় করে)(মা)
.
--"" আমি আবার মাকে খুব ভায় পাই তাই
তোতলাতে তোতলাতে বললাম, তোমার
মেয়ে সকাল সকাল আমার গায়ে পানি
ঢেলে গোসল করিয়ে দিয়েছে।😫(আমি)
.
--"" বেশ করছি ভিজিয়েছি।( বুবুন) 😁
(আমি বোন কে বুবুন বলি)
.
দেখেছো মা তোমার সামনে আবার বলছে।(আমি)
.
--"" ঠিকি তো করছে, আর আমিই বলছি তোকে ডেকে তুলতে, আর না উঠলে পানি দিয়ে উঠাতে, তাই তো ও এই কাজ করেছে। তোর না আজ ভার্সিটির প্রথম দিন।(মা)
.
--"" অহ নো.. ৯:৩০ বাজে,আমাকে আরো জলদি ডাক দিতে পারো নাই, আর মাত্র
৩০ মিনিট আছে উফফফ কি যে হবে।
তাড়াতাড়ি গিয়ে দাত ব্রাশ করে, গোসল
সেরে বেরোলাম। আর ২০ মিনিট আছে,জলদি ফোন টা পকেটে নিয়ে নিলাম,মানিব্যাগ টা কেমন যেনো অপুষ্ট লাগছে।
কিন্তু কালকেই বাবার থেকে বেশ কিছু টাকা ধান্দা করে নিয়েছিলাম। মনে একটু সন্দেহ লাগলো, তাই  মানিব্যাগটা খুললাম,মানিব্যাগের ভেতো দেখে  আমি একটা চিৎকার মারলাম,কারন অর্ধেকের বেশি টাকা গায়েব।😫
.
এরকম ষাড়ের মতো চিল্লানী দিলি কেন ?(মা)
.
কাল বাবাকে কত বুঝিয়ে কিছু টাকা নিলাম, টাকা অর্ধেক গায়েব হলো কিভাবে? আমি।
.
অতসব জানি না।(মা)
.
নিশ্চিত হারমি টার কাজ, সকাল সকাল আমার ঘরে এসে টাকা মেড়েছে।(আমি)
.
--"" তোর ভাই তোর মতই হইছে। (মা)
.
হারামিটা তো ওর পকেটমানি খরচ করেই, আবার আমার টাতেও ভাগ বসায়। আজ আসুক, দেখে নেবো হারামিটাকে। (আমি)
.
--""সে যা করার করিস এখন কলেজ জাবি না? (মা)
.
উফ জলদি জেতে হবে, তাড়াতাড়ি ব্যাগ টা নিয়ে বেড় হলাম।
.
--""এই নিহাদ খেয়ে যা । (মা)
.
না এখন আর সময় নাই, বাইরে খেয়ে নিবো। (আমি)
.
--""একটু কিছু মুখে দিয়ে যা। (মা) 
.
না মা, বললাম তো বাইরে খাবো।(আমি)
.
--"" আচ্ছা শুন,আজ একটু তারাতারি বাড়ি চলে আসিস  (মা) 
.
কেন মা তারাতারি আসবো কেন? (আমি)
.
--""আজ তোর জসিম আংকেল দের বাড়িতে যাব।( মা)
.
কেন মা?(আমি)
.
--""তোর আর নুপুরে বিয়ের কথা পাকা করতে যাবো। (মা) 
.
অহ ঠিক আছে বলে বাড়ি থেকে বের হলাম (নুপুর আমার গালফ্রেন্ড)।

নুপুরের নাম টা শুনে আমার বুক টা কেপে উঠলো। সেইদিন এর কথা মনে পড়ে গেলো, বেশ কয়েকদিন
আগে আমি আর নুপুর ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম, রস্তার চার পাশের এলাকা টা ঘন জংগল এ ঘেরা ছিলো। 
আমাদের বাস টা ব্রেকফেল করে, একটা খাঁদে পরে যায়, আমি আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।
আর একটা বাস এইদিকেই আসে, তখন বাসের লোকজন সবাই মিলে আমাদেরকে হাসপিটালে ভর্তি করে। আমার তিন দিন পর জ্ঞান ফেরে, আমি জ্ঞান ফেরার পরেই আমি নুপুরের কথা জিজ্ঞাসা করি আন্টি মানে নুপুরের মাকে, আন্টি কেঁদে দিয়ে বলে, নুপুর কে নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চিৎকার দিয়ে কেঁদে ফেললাম। খুব ভালবাসি যে পাগলি টাকে,পাগলিটাও আমায় খুব ভালবাসে। আমার ঠিক হতে প্রায় তিন মাস কেটে যায়,হঠাৎ একদিন নুপুর ফিরে আসে। এতো দিন কোথায় ছিলো কিভাবে ছিল জিজ্ঞাসা করলেই প্রচন্ড রেগে যেত। তাই আর কেউ ওকে এই বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। আসার পর থেকে নাকি উদ্ভট আচরণ শুরু করে। রাতে মাঝে মাঝে বাইরে বের হয়ে যাই,আবার একা একা ফিরে আসে।কিছু জিজ্ঞাসা করলেই রেগে যায়।তাই ওর মা বাবা ওর বিয়ের জন্য উঠে পরে লেগেছেন।

একদিন প্রচুর বৃস্টির সময় নুপুর আমদের বাসার গেটের পাশে দারিয়ে ছিল। বাবা বাইরে থেকে ভেতরে নিয়ে আসে ওকে । আমি তো ওকে দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম।

সারা শরির কাকভেজা হয়ে গেছে, কেমন করে তাকিয়ে আছে ।চোখ দেখে মনে হচ্ছে চোখে কোন প্রান নেই চখে।একভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, আমি ওর কাছে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমাকে। আমার স্বাশ বন্ধ হয়ে আসছিল,এতো জোরে ধরেছিল। তারপর ওকে কোন ভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে আন্টিকে ফোন দেই, আন্টি এসে ওকে নিয়ে যায়। তারপর ও স্বাভাবিক হয়ে যায়। প্রতিদিন দেখা করা ফোনে কথা বলা তো চলতো ওর আর আমার মধ্যে।
ও কেমন করে যেনো তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। 
আর বলতো, আমি তেমাকে কোন ভাবে হারাতে দিবো না।যে তোমাকে আমার থেকে আলাদা করতে
আসবে তাকেই আমি শেষ করে দিবো।আমি বলতাম কেউ আলাদা করবে না আমাদের।

ওপস আপনাদের আমার আর নুপুরের কথা বলতে বলতে ভার্সিটিতে এসে গেছি।সব ক্লাস গুলো ভালো ভাবে করে বাসায় চলে আসলাম।

--""জলদি রেডি হয়ে নে নিহাদ যেতে হবে, দেরি হয়ে গেছে। (মা) 
.
মা এখুনি যেতে হবে? এইমাত্র আসলাম ভার্সিটি থেকে, খেয়েনি আগে।(আমি)

--""ওখানে গিয়ে খাবি,এবার  জলদি রেডি হ। (মা)

হুম, (আমি)

দেখলাম আব্বু বসে আছে, তাই হারামি টারে কিছু বললাম না।মানে আমার ছোট্ট ভাইকে।রেডি হয়ে তারাতারি  গাড়িতে বসে পোরলাম।গাড়িতে প্রাই ১ ঘন্টা বসে থাকার পর পৌছে গেলাম হবু শশুর বাড়ি। বাড়িতে আসার পর অনেক কথা হলো শশুর শাশুড়ির সাথে। তারপর নুপুরের রুমে জেতেই দেখি নুপুর রুমে নেই। তাই বারান্দায় গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমি চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে
ফেললাম....

চলবে.....?

#Nehシad
নতুন গল্প,,সবাই পড়বেন, আশা করি ভালো লাগবে।এটা অনেক ভয়ানক একটা গল্প হতে চলেছে।এই গল্পের কয়টা পার্ট করবো,এটা আপনারাই বলবেন কমেন্ট এ।আর আমি কিছু নামের জন্যে অনেককেই এসএমএস দিয়ে ছিলাম,এ জন্য ক্ষমা করবেন।সাবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিজের যত্ন নিবেন, সাবধানে থাকবেন, ধন্যবাদ🙂।

লেখক~~~#Md_Nehad_Ali