মিস্টার হ্যাকার!!!
হ্যাকিং কি মাথায় দেয় নাকি ভাত দিয়ে মাখিয়ে খায়?

এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো "হ্যাকিং আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনের সাথে অজান্তেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে"; হ্যাকিং শুধুমাত্র কম্পিউটার-কিবোর্ডের সাইবার ওয়ার্ল্ডে নয় বরং আপনার-আমার মাথার ব্রেইন তথা সাইকোলজিতে মিশে আছে।
মনে করুন আপনি আপনার মায়ের সাথে শপিং করতে বেড়িয়েছেন; আপনার একটা জামা পছন্দ হয়েছে কিন্তু চতুর দোকানদার সেটার দাম চাইছে ৫০০ টাকা। আপনার আম্মু (আইমিন আমার আন্টি) কিন্তু কথার মারপ্যাঁচে কাটিয়ে ছাটিয়ে কমিয়ে সেটা ঠিকই ২০০ টাকাতে কিনে ফেলবেন।
এখানে আপনার "মা" হলেন একজন সাইকোলজিক্যাল হ্যাকার!!
আবার আপনার আব্বু বাজার করার সময় মাছওয়ালার সাথে দামাদামি করে বাজারের সবচেয়ে বড় রুই মাছটার দাম কমিয়ে ব্যাগ ভরে হাসি মুখে বাসায় ফিরছেন....তিনিও কিন্তু একজন সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকার!!!
এই হ্যাকিং জিনিসটা মেয়ে পটানো থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার মার্কেটিং প্লান বিল্ডআপে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বলা বাহুল্য যে সাইবার হ্যাকিং এর তুলনায় সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং এর গুরুত্ব - পরিসর- মূল্যায়ন চিরন্তনভাবে অধিক তাৎপর্য্যপূর্ণ!!!
এইবার আসি সাইবার হ্যাকিং নিয়ে....
আপনি কি জানেন সারাবিশ্বে মোট কতোগুলো কম্পিউটার আছে কিংবা এখন পর্যন্ত মোট কতোটি ওয়েবসাইট আছে?
২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট পারসোনাল কম্পিউটারের সংখ্যা ছিলো ২ বিলিওন; এখন যখন আমি এই লেখাটি লিখছি তখন সারাবিশ্বে মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা হলো ১ বিলিওন যার মাঝে জীবিত ওয়েবসাইট সংখ্যা ২০০ মিলওন!!!
মূলত সাইবার হ্যাকিং বলতে অন্যের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক তথা সিস্টেমে অবৈধ অনুপ্রবেশ করাকে বোঝায় তা হউক আপনার হাতের এনড্রোয়েড কিংবা আপনার শখের ওয়েবসাইট।
আফোস....আজও আমরা অধিকাংশ মানুষ হ্যাকিং বলতে অন্যের ফেসবুক আইডি এক্সেস নেওয়া বুঝি!!!
হ্যা, অন্যের ফেসবুক আইডি কিংবা যেকোনো একাউন্ট (তা হউক জিমেইল কিংবা টুইটার অথবা ইনস্টাগ্রাম) এক্সেস নেওয়াও হ্যাকিং বটে তাইবলে হ্যাকিং এর পরিসর শুধুমাত্র ফেসবুক একাউন্টের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।
আবার ফেসবুক হ্যাকিং আর ফেসবুক একাউন্ট এক্সেস নেওয়াও কিন্তু একই ব্যাপার নয় কেননা Facebook হ্যাক বলতে ফেসবুক এর সিস্টেম যেমন ফেসবুক ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করাকে বোঝায় আর ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং বলতে স্রেফ ফেসবুকের একটি একাউন্টে আপনার দখল বা এক্সেস করাকে বোঝায় [ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার নিয়মগুলা বরাবরই চিরায়ত ফিশিং,কি লগিং, ডিভাইস এক্সেস, কুকিজ স্টিলিং, স্পুফিং কিংবা সার্ভারে ফেইক ইনফো পাঠিয়ে বোকা বানিয়ে একাউন্ট এক্সেস নেওয়া ইত্যাদির মাঝেই সীমাবদ্ধ যা হ্যাকিং বিদ্যার ব্যাসিক নলেজ]।
কিছুদিন আগে আমি Mr Hacker নামে একটি Hacking Course চালু করেছি এবং আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত আমরা সফল।
আমরা কেন বললাম জানেন??
কারন এই পেইড কোর্সে যতোজন স্টুডেন্ট আছেন তারা প্রত্যেকেই তাদের স্বপ্নের হ্যাকিং শিক্ষা গ্রহনে এখন পর্যন্ত সাকসেস এবং স্যাটিসফাইড।
আজ Mr Hacker নিয়ে আপনাদের কিছু প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি.....
Mr Hacker গ্রুপে কি শেখানো হয়?
Mr Hacker আদতে শুধু একটি গ্রুপ নয় বরং একটি ভর্চুয়াল পরিবার; যেখানে পরস্পস পরস্পরকে সহযোগিতা মাধ্যমে সাইবার এবং সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং শেখানো হয় [এখন পর্যন্ত সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং এর ক্লাস নেওয়া হয়নি, কেননা সাইবার হ্যাকিং শেখানোর পরই সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং এর টিউটোরিয়াল - টাস্ক এবং ক্লাস নেওয়া হবে।
আদতে সাইবার হ্যাকিং এর কি কি শেখানো হয় এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো "নিয়োফাইট অর্থাৎ শূন্য হতে আপনার ব্রেইনে হ্যাকিং বিদ্যা সফলভাবে পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে লীট পর্যন্ত গড়ে নেওয়া হয়"।
হয়তো আপনাকে যদি বলি IP Address সম্পর্কে গ্রুপে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তাহলে আপনি নাক সিটকোবেন, অথচ পরিপূর্ণভাবে আইপি এড্রেস এনালাইসিস না করতে জানলে আপনার পক্ষে কখনোই মেটাস্পলয়েটে ট্রোজান এপ্লিকেশন তৈরী করা সম্ভব হবে না (আফসোস যারা নাক সিটকোন তারা কতোজন স্ট্যাটিক এবং রিয়েল আইপি এর মাঝের তফাত বুঝেন কিনা তাতে সন্দিগ্ধতা আছে)। Mr Hacker গ্রুপের যাবতীয় কনটেন্ট সিক্রেট রাখার স্বার্থে অনেক টিউটোরিয়াল হাইলাইটস উহ্য রাখা হলেও সংক্ষেপে আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে অন্যের মোবাইল এক্সেস বা কনট্রোল নেওয়া, ডিস্ট্রয় করা, ডাটা এনক্রিপশন করা, র‍্যানসমওয়্যার, যাবতীয় সোস্যাল নেটওয়ার্ক এক্সেস নেওয়া, ইমেইল ট্রাকিং, ইমেইল হ্যাকিং, স্পুফিং, লোকেশন ট্রেস, এভরি টাইপিং ডাটা গ্রাবিং,কন্টাক্ট নাম্বার হ্যাকিং, ওয়েবসাইট হ্যাকিং, বাগ বাউন্টিং ইত্যাদি শেখানো হয় [এখন পর্যন্ত সাইবার হ্যাকিং এর ৩৫+ ক্লাস নেওয়া হয়েছে] যেহেতু সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং ক্লাস এখনো নেওয়া শুরু হয়নি তথাপি এতোটুকুই বলবো "অন্যের মন জয় করা হতে হিপ্নোসিস আর প্যারানরমাল সায়েন্স হতে প্যারাসাইকোলজি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এই মাইন্ড হ্যাকিং ক্লাসগুলো"।
কোর্স ফি ৫০০০ টাকা কেন?
হয়তো আপনার মনে হতে পারে শুধু শিক্ষা দিতে কেন ৫০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে? আদতে হ্যাকিং শেখা এবং প্র্যাকটিস করার জন্য প্রয়োজন আছে ডোমেইন ও হোস্টিং এছাড়াও এই কোর্সের সকল সফটওয়ার, টুলস সবকিছুই ইউনিক তাই এগুলা তৈরী করতেও অর্থের প্রয়োজন আছে।
তথাপি গ্রুপের সিংহভাগ মেম্বার্স স্কিমে ক্লাস করছেন যাদের কখনোই টাকার জন্য নূন্যতম প্রেসার দেওয়া হয়না বরং সবাইকে সমানভাবে ক্লাসের প্রতি কনসানট্রেট করানোর চেষ্টা করা হয়।
আমি গর্ব করে এতোটুকু বলতে পারি গ্রুপের ১৬ জন স্টুডেন্ট এখন পর্যন্ত সফল এবং স্যাটিসফাইড!!!
Mr Hacker গ্রুপ হতে আর্নিং করা কি সম্ভব?
আদতে হ্যাকিং কোন প্রফোশন নয় বরং একটি শখ বা প্যাশান (অন্তত বাংলাদেশের স্বাপেক্ষ) তথাপি বাগ বাউন্টিং হতে একজন লীট হ্যাকারর অবশ্যই বিপুল পরিমান অর্থ লিগ্যাল ওয়্যেতে উপার্জন করতে পারেন।
আর সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং অন্যের মন জয় করে আপনার স্বার্থ সিদ্ধি করা হতে শুরু করে আপনার নিজের ব্যক্তিগত লাইফে সফলতা আনতে সক্ষম।
মোটকথা Mr Hacker গ্রুপ আপনার লাইফ এবং ক্যারিয়ার গড়তে ইনশাল্লাহ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সবিশেষ Mr Hacker গ্রুপ (পরিবার) সম্পর্কে শুধু এতোটুকুই বলবো যে, আপনি হ্যাকিং শিক্ষায় ততো পর্যন্ত সাপোর্ট দেওয়া হবে যতোক্ষন না আপনি শিখতে পারছেন এবং সফল হতে পারছেন।
আপনারা কেউ যদি Mr Hacker গ্রুপে যুক্ত হতে চান (আর্থিক সমস্যা থাকলে স্কিমে যুক্ত হতে পারেন) তবে ইনবক্সে জানাতে পারেন।
আমি চাই যেন সফলতার শেষ দিনে সবাই যেন হাসিমুখে আপনাদের বলতে পারে You are Mr Hacker!!!