
জ্যোতিঃপদার্থ বিদ্যা,পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে আধুনিক শাখার নাম।সত্যি বলতে সেই প্রাচীন কালের মানুষ গুলো ভ্রুনাক্ষরেও টের পায়নি যে, তারা কুসংস্কার এর মধ্যেদিয়ে জন্ম দিতে যাচ্ছে বিজ্ঞান এর সবচেয়ে আধুনিক শাখাটাকে।যেই ভাবেই জন্ম হোক না কেন বেচারা তো এসেছে আমাদের কাছে এই সুবিশাল রহস্যময় আকাশটাকে মেলে ধরার জন্য।
ফরাসি পন্ডিত আরোগা বলেছিলেন " জ্যোতিঃবিদ্যার ভাগ্য ভালো, এর কোন প্রসাধনীর দরকার হয় না"। আর দরকার হবেই বা কেন??
এই রহস্যময়ী আকাশ আর তা বুকে লেগে থাকা রূপবতী চাঁদ ও তার খেলার সাথী মেঘ যে দিন আকাশ থেকে ছুটি নেয় সেই দিন কোন এক নির্জন খোলা জায়গায় একটু সময় করে এই কুচকুচে কালো আকাশটা দিকে একবার তাকিয়ে দেখলে হাজার হাজার তারা গুলোকে যেন মনে হয় কেউ খুব যত্ন করে আকাশকে খুব ভালোবেসে তার বুকে এই হীরক খন্ড গুলোকে বসিয়ে দিয়েছে।

যারা সারাক্ষন নিজেদের মাঝে গল্পে মগ্ন থাকে মাঝে মাঝে আবার একটু করে মিটমিট করে হাসেও।
এই হীরক খন্ড গুলোর মাঝে কত গুলো ছোট আবার কত গুলো বড় আবার যারা বড় তাদের দেখে একটু বেশিই উজ্জ্বল মনে হয়।তবে হে এই নিয়ে কিন্তু তাদের মনে কোন ক্ষোভ নেই।
তাদের এই অপার সৌন্দর্যের অসীম রহস্যই মানুষকে তাড়া করে আসছে বহুকাল ধরে।আর তার পিছন পিছন ছুটতে ছুটতেই মানুষের কৌতুহলী মনে জন্ম নিয়েছে আরো হাজার হাজার প্রশ্ন,যেমন:এরা কোথা থেকে এলো??, আসার আগে এরা কেমন দেখতে ছিল??এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার আগে কি তারা এক সাথে ছিল??যদি তাই থাকতো তাহলে ওই সময় কেমন দেখতে ছিল তারা?আচ্ছা তারা কি চিরজীবন এই রকমই থাকবে?? নাকি নিঃশেষ হয়ে যাবে কোন সময়??
এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে মানুষ একসময় এই ৪১,২৫২,৯৬ বর্গ ডিগ্রির আকাশটাকে অনেক গুলো অংশে ভাগ করে নেয়।
আর তার মাঝখান থেকে মহাকাশ গবেষনা সংস্থা NASA ৮৮ টা অংশকে স্বীকৃতি দেয়।আর এই এক একটা অংশকে বলা হয় এক একটা তারকামন্ডল।

আচ্ছা একটু কল্পনা করুন আপনি আর আপনার কয়েক জন বন্ধু গ্রামের কোন এক মেঠো পথ দিয়ে হাটতে হাটতে গল্প করতেছেন আকাশ নিয়ে,এমন সময় আপনার কোন বন্ধু হঠাৎ করেই বলে উঠল ইস যদি আকাশটা ম্যাপিং করা যেত??
কথা শোনা মাত্রই আরো কয়েক জন বন্ধু বলে উঠলো ইসস সত্যি ব্যাপার খুবই ভালো আর ইন্টারেস্টিং ও হোত....
আপনি ওদের একজন এর কাধে হাত রেখে বললেন অলরেডি হয়ে গেছে, বলেই একটা জায়গায় বসে শুনানো শুরু করলেন ম্যাপিং এর ইতিহাস।

আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন অরিয়ন,হারকিউলিস,ড্রাকো এদের কে নিয়ে গ্রিক মিথলজির সেই মজার মজার গল্প গুলো।।
এমন সময় আপনি খেয়াল করলেন অনেক গুলো চোখ আপনার দিকে আকাক্ষার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে তারা অপেক্ষা করতেসে আপনি কি বলবেন তা শুনবে এই আশায়..
এইসময় আপনি হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে উত্তর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখাতে আর বলতে লাগলেন অই যে অই অই অই তারগুলা দেখতেছিস অইতারা গুলো নিয়ে আসলে গঠিত হয় DRACO তারকামন্ডল ইংলিশ এ যাকে বলা হয় The Dragon Of The Night Sky.....
আজ এই পর্যন্তই পরবর্তী পর্বে নিয়ে আসবো এই Draco এর মিথলজিক্যাল হিস্ট্রি,আকাশে এর অবস্থান, এই মন্ডলে থাকা তারাগুলো নিয়ে বিস্তারিত সব কথা।।
সেই পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, আকাশ এর দিকে তাকান কৌতুহল বাড়ান, আকাশপ্রেমী হোন.....
বি স্পেসজোনড
সৌজন্যেঃ Sabbir Rahman
Follow Us