বলেছিলাম একটি উক্তি আপনাদের সামনে লজিক দিয়ে উপস্থাপন করবো তবে এর আগে একটি গল্প শুনতে হবে সময় আছে কি তার জন্য যদি থেকে থাকে তবে স্বাগতম।
একটি ছেলের গল্পঃ ধরি তার নাম Y
(কারণ বর্তমানে এক্স বলতে বহুত জন বহুত ধরনের ধারনা পোষন করতে পারে তাই রিক্স নেওয়ার দরকার কি)
Y তার লাইফের শেষ চাকুরী একটি হাসপাতালে নেয় যেখানে সে আইটি ইন চার্জ হিসাবে কর্মরত ছিল।
কিন্তু কথায় আছে "সুখে থাকতে ভুতে কিলায়"।
তাই সে তার চাকুরী ছেড়ে দেয় এবং সে পরবর্তীতে অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করতে থাকে।
কথায় আছে বেকার বসে থাকার থেকে মরে যাওয়া ভাল তাই সে হন্য হয়ে কাজ খুজতে থাকে কিন্তু প্রবাদে আছে
"সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়ের সমান"
তাই তার কোন উন্নতি ঘটছিলনা, শত হলেও বেকার বলে কথা।
তবে এক ঈদে সে তার লাইফ পার্টনার কে নিয়ে ঘুরতে বের হয় সেখানেই Y এর সহধর্মিণীর কোয়েল পাখি পছন্দ হয়ে যায় এবং দুজনে মিলে দু জোড়া কোয়েল পাখি কিনে আনে।
যেহেতু Y বেকার তাই সে তার অবসর সময়টুকু কোয়েল পাখির দেখাশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।
কিছুদিন পর সেগুলো ডিম পাড়া আরম্ভ করে দেয় তা নিয়ে Y এবং তার লাইফ পার্টনার চিন্তায় পড়ে যায়।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এগুলো নিয়ে চিন্তার কি আছে?
তাদের চিন্তার বিষয় ছিল এরকম যে " হাস,মুরগী, কবুতর ইত্যাদি এগুলোতে ডিম পাড়ে এবং ফুটায় তবে কোয়েল ডিম পাড়ে কিন্তু কেন ফুটায় না?
( উম বা তা দেওয়া অথবা বাচ্চা ফুটানো বুঝানো হয়েছে)
এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে থাকে তারা এবং অবশেষে জানতে পারে যে বন্য কোয়েল ছাড়া অন্য কোয়েল ডিম পাড়ে ঠিক কিন্তু বাচ্চা ফুটায় না যেমন আমাদের দেশে বেশী প্রচলিত আছে জাপানি কোয়েল পাখির।
তারা তো ভেবেছিল অনেকগুলো কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটিয়ে তারা একটি ছোট খাটো ব্যবসা দাড় করিয়ে ফেলবে কিন্তু সে আশা যে গুড়োবালি।
তবে তাই বলে তারা থেমে থাকেনি তারা মুরগী কিভাবে ডিম ফুটায় তা নিয়ে গবেষনা আরম্ভ করে দেয় শত হলেও প্রিয় পাখি তাদের। আপনারা শুনছেন না "শখের তোলা আশি টাকা" টাকা তাদের বেলায় সেটাই ঘটছে আর কি?
মুরগীর তা দেওয়া ডিমের তাপমাত্রা কত থাকে, মুরগী কতদিনে বাচ্চা ফুটায়, মুরগী ডিম গুলোকে কিভাবে নাড়াচাড়া করে ইত্যাদি।
তারপর তাড়া ছোট করে একটি ডিম ফুটানোর মেশিন বানানোর চেষ্টা করতে থাকে তবে সঠিক তাপমাত্রা দিতে না পারায় প্রথম বার নিরাশ হয় তবূও হাল ছাড়েনি বড়ং খোজ নেয় বাজারে ডিম ফুটানোর ইনকিউবেটর মেশিন গুলোর দাম কত কিন্তু যখন জানতে পারে এগুলোর দাম ৪০,০০০+ তখন খুব নিরাশ মনে ঘরে ফিরে আসে কারণ তার কাছে তখন এই টাকা টা অনেক বেশী মনে হয়েছিল।
প্রবাদে আছে " অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা " তাই চিন্তা করতে থাকে কিভাবে সে মেশিন টা কে কম টাকায় ছোট করে বানানো যায়।
অবশেষে Y এবং তার লাইফ পার্টনার একটি ডিম ফুটানোর মেশিন সত্যিকার অর্থে বানিয়ে ফেলে তাও মাত্র ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
তারা মেশিন বানাতে ব্যবহার করেছিল স্টোর রুমে পড়ে থাকা একটি ফলের বাক্স যা কিনা কাগজের কিন্তু সেটাই হচ্ছে মেশিনের কেসিং।
তারপর নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্পিউটার এর ভিতরে থাকা পাখা যা কিনা ভেন্টিলেশন এর কাজ করবে।
এছাড়াও বাতিল ল্যাপটপের এডাপ্টার ইত্যাদি।
অবশেষে তারা এরকম বাতিল কিছু জিনিস দিয়ে তৈরী করে ফেললো একটি সুন্দর ডিম ফুটানোর মেশিন এবং তারা এবার সফল হলো বাচ্চা ফুটাতে।
জ্ঞানীরা বলে "ইচ্ছা থাকলে নাকি উপায় হয়" তাদের ইচ্ছা ছিল বলেই তারা সফল হয়েছে।
শুধু ইচ্ছা নয় এর জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম এবং বিশেষ করে তাদের মনের জোড় ছিল বলেই তারা সফল হলো।
বর্তমানে তারা কিন্তু আর বেকার রইলোনা।
কাজ কে ছোট করে দেখার উপায় নেই কারন বেকার ঘুরার চেয়ে কিছু একটা করা অনেক ভালো।
কথায় আছে "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি", " কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে"।
এখন মূল কথা হলো
"যেখানে দেখিবে ছাই উরাইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন"
ছাই বলতে অনেকটা সস্তা জিনিস বুঝানো হয়েছে যা হয়তো ফেলে দেওয়া হয় কিন্তু তুমি যদি তার ব্যবহার সঠিক জায়গায় করতে জানো তা হয়তো তোমার কাছে মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাড়াতে পারে যা আমি গল্পের লজিকে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি যদি ভালো লেগে থাকে তবে লাইক কমেন্ট করতে মিস করবেন না।
বাংলাদেশে কিন্তু বেকার লোকের অভাব নেই।
তারা যদি কোন কাজকেই ছোট করে না দেখতো তবে হয়তো অনেক বেকার জীবন কর্মস্থলে তার জীবিকা নির্বাহ করতো।
#সবশেষে
দোয়া করবেন যেন আগামীতে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
#ডার্ক #ম্যাজিশিয়ান #সৌরভ #সাইবার #প্রিন্স।
একটি ছেলের গল্পঃ ধরি তার নাম Y
(কারণ বর্তমানে এক্স বলতে বহুত জন বহুত ধরনের ধারনা পোষন করতে পারে তাই রিক্স নেওয়ার দরকার কি)
Y তার লাইফের শেষ চাকুরী একটি হাসপাতালে নেয় যেখানে সে আইটি ইন চার্জ হিসাবে কর্মরত ছিল।
কিন্তু কথায় আছে "সুখে থাকতে ভুতে কিলায়"।
তাই সে তার চাকুরী ছেড়ে দেয় এবং সে পরবর্তীতে অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করতে থাকে।
কথায় আছে বেকার বসে থাকার থেকে মরে যাওয়া ভাল তাই সে হন্য হয়ে কাজ খুজতে থাকে কিন্তু প্রবাদে আছে
"সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়ের সমান"
তাই তার কোন উন্নতি ঘটছিলনা, শত হলেও বেকার বলে কথা।
তবে এক ঈদে সে তার লাইফ পার্টনার কে নিয়ে ঘুরতে বের হয় সেখানেই Y এর সহধর্মিণীর কোয়েল পাখি পছন্দ হয়ে যায় এবং দুজনে মিলে দু জোড়া কোয়েল পাখি কিনে আনে।
যেহেতু Y বেকার তাই সে তার অবসর সময়টুকু কোয়েল পাখির দেখাশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।
কিছুদিন পর সেগুলো ডিম পাড়া আরম্ভ করে দেয় তা নিয়ে Y এবং তার লাইফ পার্টনার চিন্তায় পড়ে যায়।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এগুলো নিয়ে চিন্তার কি আছে?
তাদের চিন্তার বিষয় ছিল এরকম যে " হাস,মুরগী, কবুতর ইত্যাদি এগুলোতে ডিম পাড়ে এবং ফুটায় তবে কোয়েল ডিম পাড়ে কিন্তু কেন ফুটায় না?
( উম বা তা দেওয়া অথবা বাচ্চা ফুটানো বুঝানো হয়েছে)
এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে থাকে তারা এবং অবশেষে জানতে পারে যে বন্য কোয়েল ছাড়া অন্য কোয়েল ডিম পাড়ে ঠিক কিন্তু বাচ্চা ফুটায় না যেমন আমাদের দেশে বেশী প্রচলিত আছে জাপানি কোয়েল পাখির।
তারা তো ভেবেছিল অনেকগুলো কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটিয়ে তারা একটি ছোট খাটো ব্যবসা দাড় করিয়ে ফেলবে কিন্তু সে আশা যে গুড়োবালি।
তবে তাই বলে তারা থেমে থাকেনি তারা মুরগী কিভাবে ডিম ফুটায় তা নিয়ে গবেষনা আরম্ভ করে দেয় শত হলেও প্রিয় পাখি তাদের। আপনারা শুনছেন না "শখের তোলা আশি টাকা" টাকা তাদের বেলায় সেটাই ঘটছে আর কি?
মুরগীর তা দেওয়া ডিমের তাপমাত্রা কত থাকে, মুরগী কতদিনে বাচ্চা ফুটায়, মুরগী ডিম গুলোকে কিভাবে নাড়াচাড়া করে ইত্যাদি।
তারপর তাড়া ছোট করে একটি ডিম ফুটানোর মেশিন বানানোর চেষ্টা করতে থাকে তবে সঠিক তাপমাত্রা দিতে না পারায় প্রথম বার নিরাশ হয় তবূও হাল ছাড়েনি বড়ং খোজ নেয় বাজারে ডিম ফুটানোর ইনকিউবেটর মেশিন গুলোর দাম কত কিন্তু যখন জানতে পারে এগুলোর দাম ৪০,০০০+ তখন খুব নিরাশ মনে ঘরে ফিরে আসে কারণ তার কাছে তখন এই টাকা টা অনেক বেশী মনে হয়েছিল।
প্রবাদে আছে " অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা " তাই চিন্তা করতে থাকে কিভাবে সে মেশিন টা কে কম টাকায় ছোট করে বানানো যায়।
অবশেষে Y এবং তার লাইফ পার্টনার একটি ডিম ফুটানোর মেশিন সত্যিকার অর্থে বানিয়ে ফেলে তাও মাত্র ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
তারা মেশিন বানাতে ব্যবহার করেছিল স্টোর রুমে পড়ে থাকা একটি ফলের বাক্স যা কিনা কাগজের কিন্তু সেটাই হচ্ছে মেশিনের কেসিং।
তারপর নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্পিউটার এর ভিতরে থাকা পাখা যা কিনা ভেন্টিলেশন এর কাজ করবে।
এছাড়াও বাতিল ল্যাপটপের এডাপ্টার ইত্যাদি।
অবশেষে তারা এরকম বাতিল কিছু জিনিস দিয়ে তৈরী করে ফেললো একটি সুন্দর ডিম ফুটানোর মেশিন এবং তারা এবার সফল হলো বাচ্চা ফুটাতে।
জ্ঞানীরা বলে "ইচ্ছা থাকলে নাকি উপায় হয়" তাদের ইচ্ছা ছিল বলেই তারা সফল হয়েছে।
শুধু ইচ্ছা নয় এর জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম এবং বিশেষ করে তাদের মনের জোড় ছিল বলেই তারা সফল হলো।
বর্তমানে তারা কিন্তু আর বেকার রইলোনা।
কাজ কে ছোট করে দেখার উপায় নেই কারন বেকার ঘুরার চেয়ে কিছু একটা করা অনেক ভালো।
কথায় আছে "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি", " কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে"।
এখন মূল কথা হলো
"যেখানে দেখিবে ছাই উরাইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন"
ছাই বলতে অনেকটা সস্তা জিনিস বুঝানো হয়েছে যা হয়তো ফেলে দেওয়া হয় কিন্তু তুমি যদি তার ব্যবহার সঠিক জায়গায় করতে জানো তা হয়তো তোমার কাছে মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাড়াতে পারে যা আমি গল্পের লজিকে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি যদি ভালো লেগে থাকে তবে লাইক কমেন্ট করতে মিস করবেন না।
বাংলাদেশে কিন্তু বেকার লোকের অভাব নেই।
তারা যদি কোন কাজকেই ছোট করে না দেখতো তবে হয়তো অনেক বেকার জীবন কর্মস্থলে তার জীবিকা নির্বাহ করতো।
#সবশেষে
দোয়া করবেন যেন আগামীতে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
#ডার্ক #ম্যাজিশিয়ান #সৌরভ #সাইবার #প্রিন্স।
Follow Us