সুপার-আর্থ
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMJ04lMfGkNxgNNQZClnNi38IIS1qWV_i0ZXIIQVwb1bwxTEj9gjvlO_QMgomj99-10w_6i0aAxvCT80Rs1tSuPQF0_cZ4mtLAd41n9DyN4mcF37hqfDLDL-yjANjASGW7uqIKyKhZIWiR/s1600/IMG_ORG_1561673195425.jpeg)
সুপার-আর্থ বা অতিকায় পৃথিবী হচ্ছে বেশ বড়সড় ধরনের গ্রহ।
এই গ্রহগুলোর ভর পৃথিবীর দ্বিগুণ থেকে আট গুণ বেশি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশির দশকে অত্যন্ত কৌতুহলী ছিলেন এই জাতীয় গ্রহ সম্পর্কে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন এইসব গ্রহ পৃথিবীর থেকে বহুগুণ বেশি বসবাস যোগ্য হবে। কিন্তু নতুন গবেষনায় পাওয়া গেছে আরো বিস্ময়কর তথ্য, এইসব গ্রহে যদি কোনো বুদ্ধিমান প্রানী থাকে তাহলে তাদের জন্য স্পেস এক্সপ্লোরেশন বা মহাকাশ অভিযান চালানো হবে অত্যন্ত কঠিন। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে বের করেন যে সুপার আর্থ গ্রহগুলোতে চাঁদে যাওয়ার জন্য যে রকেট তৈরি করতে হবে তার ওজন হবে চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টন যা কিনা পিরামিডের ওজনের থেকে বেশি।গ্রহের ভর যদি আরো বেশি হয় তাহলে স্পেসে যাওয়া হবে অসম্ভবের কাছাকাছি। সুপার আর্থবাসীদের থাকবেনা কোনো স্যাটেলাইট, হাবল টেলিস্কোপ কারণ এগুলো মহাকাশে পাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে তাদের জন্য। ইতিমধ্যে কেপলার টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সুপার আর্থ প্ল্যানেট শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো হ্যাবিটেবল জোনে( সূর্যের থেকে যে দূরত্বে থাকলে গ্রহে তরল পানি থাকে) অবস্থান করছে। যেহেতু সুপার আর্থ প্ল্যানেটগুলো পৃথিবীর থেকেও বিশাল তাই ওইসব গ্রহের রিসোর্স ও হবে অনেক অনেক বেশি ফলে পৃথিবীর থেকে সেখানে বেশি সংখ্যক প্রজাতি থাকতে পারে। সেই সাথে সুপার আর্থ প্ল্যানেটের মহাকর্ষ বিপুল শক্তিশালী হওয়ায় সেখানের বায়ুমণ্ডল ও হবে অনেক ঘন। ফলে মহাজাগতিক রশ্নি যা জীবের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক তা কখনোই গ্রহে ঢুকতে পারবে না। শুধু তাই না সুপার আর্থ প্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডল এতো ঘন হবে যে মাউন্ট এভারেস্টের সমান গ্রহাণুও বায়ুমন্ডলে পড়লে জ্বলে পুড়ে যাবে। এক কথায় সুপার আর্থের প্রানীরা হবে আক্ষরিক অর্থেই অমর। সত্যি সত্যিই যদি এইসব গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকে তাহলে সেইসব প্রানীরা কখনোই নিজেদের গ্রহের মহাকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে মহাকাশে যেতে পারবেনা। এইজন্য হয়তো আমরা কোনো এলিয়েন দেখছিনা। এখন পর্যন্ত পাওয়া জীবনের উপযোগী গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রহহলো কেপলার-২০বি। গ্রহটার মুক্তিবেগ পৃথিবীর ছয়গুণ। এই গ্রহের পৃষ্ঠ থেকে যদি কোনো রকেট মহাকাশে পাঠানো হয় তাহলে সেই রকেটের ওজন হবে কমপক্ষে দুইটা পিরামিডের সমান। সুপার-আর্থবাসীদের দুঃখ কষ্টের সীমা নেই।
সৌজন্যে: Emon Hoque
Follow Us