আমরা সবাই নতুন মোবাইল কেনার সময় ব্যাটারির mAh লেখাটিকে অনেক গুরুত্ব দেই। যত বেশি mAh তত বেশি সময় ব্যাটারি সচল থাকে। কিন্তু আমরা কি জানি এর দ্বারা কি বোঝায়? চলুন জেনে নেয়া যাক।
আমেরিকার Flurry নামক একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমেরিকানরা প্রতিদিন গড়ে সোয়া ৪ ঘন্টা করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আমরা বাঙ্গালিরা তো ব্যবহার করি আর বেশি। এক কথায় বলা যায় মোবাইল ফোন আমাদের প্রাণ। আর মোবাইলের প্রাণ হলো ব্যাটারি। ব্যাটারি ছাড়া আমাদের প্রাণপ্রিয় মোবাইল অচল।
আমাদের মোবাইল ফোনের ব্যাটারি সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে। যথা- Lithium Ion (Li-Ion) এবং Lithium Polymar (Li-poly)। এদের মধ্যে Li-Ion ব্যাটারি সবচেয়ে পুরোনো এবং জনপ্রিয়। ব্যাটারি যে ধরণেরই হোক এর মূল লক্ষ্যণীয় বিষয় যা আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি তা হলো mAh।
এই mAh এর অর্থ হলো mili-Ampere hour. সাধারণত Ampere দ্বারা ব্যাটারির কার্যক্ষমতা বোঝানো হয়। বড় ব্যাটারির ক্ষেত্রে Ampere hour (Ah) ব্যবহৃত হয়। আর মোবাইল ও ছোট যন্ত্রগুলোর ব্যাটারির ক্ষেত্রে mili-Ampere hour (mAh) ব্যবহৃত হয়। mili-Ampere (mA) হলো Ampere এর ক্ষুদ্রতম অংশ(1000 mA=1 A)। এই mAh দ্বারা মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ থাকবে তা নির্ণয় করা যায়।
মনে করি, একটি ব্যাটারির কার্যক্ষমতা 3000 mAh। এর অর্থ হলো এটি এক ঘন্টায় সর্বোচ্চ 3000 mili-Ampere শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। এখন মনে করি একটি মোবাইল ২০০ mA শক্তি খরচ করে। তার মানে মোবাইলটি ঐ ব্যাটারির দ্বারা 3000 mAh/200 mA=15 hours বা ১৫ ঘন্টা সচল থাকবে। অর্থাৎ, ব্যাটারির মোট কার্যক্ষমতা (ঘন্টা)= ব্যাটারির কার্যক্ষমতা mAh/ মোবাইলের ব্যায়িত শক্তি mA।
আর এই কারণেই ব্যাটারির mAh যতো বেশি হয় মোবাইল ততো বেশি সময় চালু থাকে।
এখন আশা করি বুঝতে পেরেছেন  ব্যাটারির mAh লেখা দ্বারা কি বোঝানো হয়। Thank for reading.